স্টাফ রিপোর্টার:ফেনীতে ভাষার মাসে এক ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো আকাশ পথে কবুতরের প্রতিযোগিতা। ৫০০ কিলোমিটার আকাশ পথের এই কবুতরের প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ‘এফআরপিএফসি’- "ফেনী রেসিং পিজন ফেন্সিয়ার’স ক্লাব"। যা ইতিপূর্বে বাংলাদেশের রেসিং ইতিহাসে কোনো ক্লাব এমন সাফল্য দেখাতে পারেনি।৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট থেকে সকাল ৮টা ৩০মিনিটে কবুতর ছাড়া হয়। ফেনী রেসিং পিজন ফেন্সিয়ার’স ক্লাবের ১৯জন সদস্যের ৯২টি কবুতর এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।এতে ১ম স্থান অধিকার করেন ফেনী রেসিং পিজন ফেন্সিয়ার’স ক্লাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক "এম ই এম লফ্ট" (ইমামুদ্দীন মাসুদ)।ক্রমান্বয়ে ২য় স্থান অধিকার করেন ক্লাবের সিনিয়র সদস্য "রুবেল লফ্ট" (আহমেদ রুবেল) এবং ৩য় স্থান অধিকার করেন প্রচার সম্পাদক "এম এন্ড ও লফ্ট" (তারেক মজুমদার ও সদস্য অর্নব)।প্রতিযোগিতায় যে কবুতরগুলো ১থেকে ২০পর্যন্ত স্থান অধিকার করতে সক্ষম হয়েছে,তাদেরকে ক্লাবের পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয়েছে।বাংলাবান্দা থেকে আকাশ পথে ৫০০ কিলোমিটার উড়াল দিয়ে সাড়ে ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে প্রথম কবুতর আসে ক্লাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক "এম ই এম লফ্ট"(ইমামুদ্দীন মাসুদ)-এর বাসায়। তার পূর্বে কারো কবুতর না আসায় তিনি ১ম স্থান অধিকার করেন।কবুতরের রেসিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান ক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর ফারুক।ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কবুতরের মস্তিস্কে একটি ম্যাগনেটিক ফিল থাকায় তার সাহায্যে এ ধরণের রেসিং কবুতর যত দূরেই থাক, সে তার মালিকের বাসা খুঁজে নিতে পারে।ক্লাবের প্রচার সম্পাদক ও সাপ্তাহিক হকার্স পত্রিকার সম্পাদক তারেক মজুমদার জানান,ফেনীর কয়েকজন তরুণ শখের বশে কবুতর লালন-পালন শুরু করে এবং পরবর্তীতে তারা এ রেসিংয়ের উদ্যোগ নেয়। মাঝে মধ্যে তারা ছোট ছোট পরিসরে এ রেসিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এবার তাদের এ রেসিং প্রতিযোগিতায় ৫০০ কিলোমিটারের সারাদেশে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়লো। এ ধরণের কবুতর আকাশ পথে ৬০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে এবং এই জাতের একটি কবুতরের দাম ৫ হাজার টাকা থেকে লাখ টাকার অধিক পর্যন্ত হয়ে থাকে। যার মাপকাঠি তৈরি হয় এসব প্রতিযোগিতায় ভালো ফলাফলের উপর ভিত্তি করে। প্রকাশ থাকে যে, গত বছর বেলজিয়ামের "নিউ কিম" নামক এই জাতীয় একটি কবুতর বিক্রি হয়, যার দেশীয় মূল্য প্রায় ১৬কোটি টাকা।ক্লাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাসুদ জানান, ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন রেসিং পিজন ক্লাবের ফেন্সিয়াররা ফেনী ক্লাবের এ রেসিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রথম ৬ জনকে বিভিন্ন পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়াও এই আয়োজনটি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করেছে। দেশীয় খ্যাতিমান ফেন্সিয়ারদের পাশাপাশি বহির্বিশ্ব থেকেও অনেকে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।উল্লেখ্য, ফেনী রেসিং পিজন ফেন্সিয়ার'স ক্লাবে বর্তমানে ৪০ জন সদস্য রয়েছেন। তারা এভাবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের নাম বহির্বিশ্বে উঁচু করে তুলছেন। আগামীতেও সুখ্যাতি বজায় রাখবে সেই কামনা।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!