২১ নভেম্বর, ২০২৪ || ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
সবজি চাষে স্বাবলম্বী ফুলগাজীর রিপন
  • Updated Feb 06 2024
  • / 678 Read

 

 

মোঃ কামরুল হাসান;

সবজি চাষ করেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের তাঁরাকুছা গ্রামের আবুল হাসেমের দ্বিতীয় ছেলে তরুণ উদ্যোক্তা রিপন। পড়াশোনায় বেশিদূর এগোতে না পারলেও ছোটবেলা থেকেই তার বাবার সাথে নিজেদের জমি চাষ করে সংসার চালান। 

এখন তার বাবা না থাকলেও দমে যায়নি ৩৪ বছরের যুবক রিপন। প্রতি বছর তাদের ১'শ'৪০ শতক জমি থেকে শসা, সসিন্দা, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, টমেটো, তিতা করলাসহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা আয় করেন তিনি। ফসল উৎপাদনের পর সবজিগুলো স্থানীয় চাহিদা পূরন করে ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরামসহ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাচ্ছে। 

 

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের উত্তর তাঁরাকুচা গ্রামের মৃত আবুল হাসেম'র ছেলে রিপন শ্রমিকদের সাথে শসা, সসিন্দা, বেগুন ও টমেটো খেতের গাছ পরিচর্যার কাজ করছেন। দৈনিক স্টার লাইন'র এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে রিপন জানায়, ছোটো বেলা থেকে পিতা আবুল হাসেমের সঙ্গে চাষবাস করলেও এখন তাঁর বাবার মৃত্যুর পর থেকে বানিজ্যিকভাবে তাদের নিজ জমিতে শসা, সসিন্দা, টমেটো, কাঁচা মরিচ, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, লাউ, আলু, তিতা করলা, পুঁইশাক, বরবটি এবং আখের চাষ করছেন। 

 

গত বছর এসব জমি থেকে সবজি বিক্রি করে আয় করেন সাড়ে তিন লাখ টাকা। চলতি বছর এখন পর্যন্ত বিক্রি করেছেন দুই লাখ টাকার মতো। জমিতে এখনো যে সবজি রয়েছে সব খরচ বাদ দিয়ে আরো দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বিক্রির আশা করছেন তিনি। চারা ও ফসলকে পোকা দমনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ওষুধ হিসেবে কার্টাপিড ও সিয়েনা এবং ইউরিয়া, লাল সার, জিপসাম সার ব্যবহার করেন। রিপন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে সার, বীজ অন্যান্য উপকরন দিচ্ছেন। কিন্তু আমরা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোন ধরনের সহযোগীতা পাইনা। আমাদেরকে কেউ দেখতেও আসেনা। 

সেখানে কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন ও শাকিল'র সাথে। তারা দৈনিক স্টার লাইন'কে বলেন, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের ফুলগাজী ও পরশুরামের প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মানুষের একমাত্র ভরসা এই সবজি চাষ। এখানকার শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ সবজি চাষ করেই তাদের জীবন অতিবাহিত করছে। পাইকারি বিক্রেতারা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়ে বিক্রি করেন। এই অঞ্চলের খেটে খাওয়া কৃষকরা উপজেলা কৃষি অধিদফতর থেকে কোন ধরনের সাহায্য সহযোগীতা পাননা। যদি তাদেরকে বিনামূল্যে সার, বীজ, ওষুধ এবং সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ ও ভালো ফলন উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করা যায় তাহলে কৃষকরা প্রতি বছর এসব জমি থেকে ভালো সবজি উৎপাদন করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।

Tags :

Share News

Copy Link

Comments *