মিরসরাইয়ে মৎস্য জোনে বেজার অভিযান চাষীদের কোটি টাকার মাছ সাগরে!
- Updated Jan 24 2024
- / 666 Read
মিরসরাই প্রতিনিধি;
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মৎস্যজোন খ্যাত মুহুরী প্রজেক্ট মৎস্য ঘের এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে অর্থনৈতিক অঞ্চলের সিডিএসপি বাঁধ ও সুপারডাইক এলাকার বেশ কিছু মৎস্য ঘেরের বাঁধ কেটে দেয়া হয়। এতে স্থানীয় মাছ চাষীদের কয়েক কোটি টাকার মাছ পাশের সাগরে চলে যায় বলে জানিয়েছে মৎস্য ঘের মালিকরা। এতে মাছ চাষীরা কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে বেজা কর্মকর্তারা বলছেন এখানে সরকারি জমির দখল করে মাছের ঘের তৈরি করা হয়েছে। পূর্বে তাদের সরে যেতে বলা হলেও তারা বেজার নির্দেশনারও কর্ণপাত করেনি।
ওইদিন বিকালে সরেজমিন অর্থনৈতিক অঞ্চল এলাকার জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়, এখানে বেশ কিছু মাছের ঘেরের পাড় কেটে দেয়া বেজা কর্তৃপক্ষ। এসময় মাছ চাষী আজমল হোসেন ও নুরুল আবছার অভিযোগ করেন, তারা ২০ বছরেরও অধিক সময় এখানে মাছ চাষ করছেন। বেজা কর্তৃপক্ষ কোনরকম পূর্বঘোষণা ছাড়া হঠাৎ মাছভর্কি ঘেরের পাড় কেটে দেয়। এতে তাদের কয়েক কোটি টাকার মাছ ও মাছের পোনা সাগরে পতিত হয়েছে।
মাছ চাষী আজমল হোসেন বলেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মিঠাপানির মাছ চাষে আমাদের উদ্বুদ্ধ করছেন। অথচ এখানে কোটি কোটি টাকার মাছের ঘের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমাদের দাবি মুহুরী প্রজেক্ট মৎস্য ঘের এলাকাকে মৎস্য জোন ঘোষণা করে এটিকে রক্ষা করা হোক। কারণ এখানে চট্টগ্রামের মৎস্য খাদ্য চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগ মাছ উৎপাদন হয়।
বেজার উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. ইয়াছিন জানান, সরকারি জমিতে তারা অবৈধভাবে মাছের ঘের তৈরি করেছে। ঘের মালিকদের গত বছর ডিসেম্বর থেকে মাছ সরিয়ে নিতে সময় দেয়া হয়েছিলো। তারা বেজার নির্দেশের কর্ণপাত করেনি। মঙ্গলবার আমরা বেজার আওতাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছি। প্রথম দিন ১৫টি অবৈধ মাছের ঘের উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, মিরসরাইয়ের মুহুরী প্রজেক্ট এলাকায় প্রায় দশ হাজার একর মাছের ঘেরে বছরে ৪৯ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। সরকারের মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী এ এলাকায় চট্টগ্রামের মৎস্য খাদ্য চাহিদার যোগান দেয় মুহুরী প্রজেক্ট এলাকা।
Share News
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
সর্বাধিক পঠিত