০২ এপ্রিল, ২০২৫ || ১৯ চৈত্র, ১৪৩১
কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে বিএনপির রোডমার্চ অনুষ্ঠিত ‘শেখ হাসিনার অধিনে আর কোন নির্বাচন হতে দেব না’ -ফেনীতে মির্জা ফখরুল
  • Updated Oct 07 2023
  • / 238 Read

 

নিজস্ব প্রতিনিধি: 
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামীলীগ চায় আমার ভোট আমি দেব, তোমার ভোটও আমি দেব। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ভোটের অধিকারসহ সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ১৪ ও ১৮ সালে আওয়ামী লীগ দেশের মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি। সামনে একই কায়দায় তারা নির্বাচন করতে চায়। এবার কোনো ছাড় দেব না। এবার কেউ কারো সাথে আপস করবে না। ফয়সালা হবে রাজপথে। শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু ভোট হবে না। তাকে এবার যেতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। বিএনপির হাতে ক্ষমতা চাই না। জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দিন। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হতে দেব না। তাকে পদত্যাগ করে এক দফা এক দাবি মেনে নিতে হবে। নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে হবে। 
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী রোডমার্চে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী শহরের মহিপালে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এ আন্দোলনে ২২ জন তরুণ নেতাকর্মীর প্রাণ গেছে। ৬৭৫ নেতাকর্মী গুম হয়েছে। তাদের স্ত্রী-বাচ্চারা দরজার দিকে তাকিয়ে থাকে। সন্ত্রাসীরা যেখানে-সেখানে সন্ত্রাস করে টিকে থাকতে চায়। পথে পথে ৪০টি গাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছে। এখনো সময় আছে মানে মানে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দিন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিলে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না।


বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার সুযোগ পায় না। সরকার বিনা চিকিৎসায় তাকে হত্যা করতে চায়। খালেদা জিয়াকে সরিয়ে দিতে পারলে তাদের রাস্তা পরিস্কার হয়। লন্ডনে বসে দখলদার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- বয়স হয়েছে সময় নাই। তার জন্য কান্নাকাটি কেন। একজন মানুষ এভাবে বলতে পারে? এভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কথা বলতে পারে?
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া এশিয়া উপমহাদেশে প্রথম মুসলিম দেশের প্রধানমন্ত্রী। সারা বিশ্বের লোক তাকে আলাদা চোখে দেখে। এজন্য বিদেশিরা তার খোঁজখবর নেন। বেগম খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করেছেন। মা-বোনদের লেখাপড়া বিনামূল্যে ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। চাকরির ব্যবস্থা করেছেন। তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটক রেখে চিকিৎসার সুযোগ বঞ্চিত করা হচ্ছে। এ অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না।
এর আগে রোডমার্চের জনসভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা কুমিল্লার জনসভায় বক্তব্য দেন। ফেনীর জনসভা শেষে তারা চট্টগ্রামমুখী রোডমার্চে মিরসরাই অভিমুখে রাওয়ানা হন। 
ফেনীর জনসভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ভিপি, জয়নাল আবদীন ফারুক, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। জনসভায় ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ আশপাশের জেলা থেকে অন্তত ৫০ হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়। 

 

বিএনপির রোডমার্চে মোবাইল চুরির হিড়িক!

ঢাকা পোস্ট:
সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ে বিএনপির তারুণ্যের রোডমার্চের ফেনীর পথসভায় বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে বিএনপির রোডমার্চে পথসভা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ফোন হারিয়ে থানায় ভুক্তভোগীরা লিখিত ও মৌখিকভাবে ১০টির মত অভিযোগ করেছেন। 
মডেল থানার কর্মরত ডিউটি অফিসার পুলিশের উপ-পরিদর্শক বিউটি রানী দাস বলেন, চুমকি রানী দাস, ইশতিয়াক ভূঞা, শামীম হোসেন, শাহ আলমসহ আরও বেশ কয়েকজন ফোন হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। 
সভামঞ্চের সামনে থেকে চুরি হয়েছে বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর.কমের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সোলায়মান হাজারী ডালিমের ফোনটিও। তিনি জানান, সভা মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বিএনপি নেতাদের বক্তব্য লিখছিলেন। এ সময় নেতাকর্মীদের একদল তার শরীরের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেন। তারপরই পকেট থেকে তার ফোন খোয়া যায়। 
ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ফেনী সম্পাদক আরিফুল আমিন রিজভী বলেন, সাংবাদিকরা এমনিতে নিরীহ। কাজ করতে গিয়ে সারাদিন খাওয়া-দাওয়া ত্যাগ করে অনেক খরচও করতে হয়। তারমধ্যে এমন ক্ষতি সহজে পূরণ হওয়ার নয়। 

Tags :

Share News

Copy Link

Comments *