২১ নভেম্বর, ২০২৪ || ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
কালিদহে দুই নির্মাণ শ্রমিককে কুপিয়ে জখম করেছে কিশোর গ্যাং
  • Updated Feb 11 2024
  • / 444 Read

 

নিজস্ব প্রতিনিধি;

ফেনীতে পাওনা টাকা চাওয়ায় পালশ চন্দ্র রায় (৩৫) ও দূর্যোধন চন্দ্র দাস (২৬) নামের দুই নির্মাণ শ্রমিককে কুপিয়ে জখম করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। গত ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের তুলাবাড়িয়া পাঠাগারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭ ফেব্রুয়ারি ফেনী মডেল থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং-১৫)। আসামিরা হলেন, অন্তর (২৩) পিতা: অপু, অপু (৪০) পিতা: অজ্ঞাত,চৌকিদার বাড়ি। বিজয় দাস (২৪) পিতা: শিমুল দাস,ঠাকুর বাড়ি। এরা সবাই তুলাবাড়িয়ার বাসিন্দা। 

 

মামলার বাদির জানান, বিবাদী অপু পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। তার অধীনে বাদি পলাশ চন্দ্র রায় কাজ করত। পলাশ তার কাজের পারিশ্রমিক পাওনা ৫ হাজার টাকা চাইলে অপু কিসের টাকা পাবি বলে গড়িমসি করে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে আবার তার কাছে টাকা চাইলে অপু তার ছেলে অন্তর ও এলাকার বিজয় দাস আমাকে ব্যাপক মারধর করলে আমার ভগ্নিপতি দূর্যোধন চন্দ্র দাস আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও ব্যাপক মারধর করে আমাদের দ্ইুজনকে কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। তখন আমার পকেটে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এবং আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তারা স্থান ত্যাগ করে। এ ঘটনা স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মানিককে জানালে তিনি মামলা করার পরামর্শ দেন। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা  চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। পরে আমরা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করি। ঘটনার দিন হাসপাতালে চিকিৎসা করে আমরা ফেনী মডেল থানায় মামলা করার জন্য গেলে পুলিশ ৪ দিন ধরে আমাদের থেকে কোনো অভিযোগ গ্রহণ করেনি। পরে আমরা গত ৬ ফেব্রুয়ারি নিরুপায় হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) থ্রুয়াই অংপ্রু মারমার সাথে দেখা করলে তিনি এ বিষয়টি আমলে নেন। তিনি এ অভিযোগটি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ওইদিন রাতেই অপুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে পরদিন আদালত থেকে সে জামিন নিয়ে বেরিয়ে যায়। বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছে। আসামিগণ প্রতিনিয়ত আমাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা আরো জানান অপুর ছেলে অন্তর ও স্থানীয় বিজয় দাস এরা এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী এবং কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য। এরা অত্র ইউনিয়নের মেম্বার,চেয়ারম্যান সহ সামাজিক লোকজনকে সম্মান দেয়না। তারা এলাকার তরুণ-যুবকদেরকে মাদকের নেশায় জড়িয়ে ধ্বংস করছে। এলাকার মানুষ এদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়না। আমরা এ বিষয়ে ফেনী সদর আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

 

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মানিক বলেন, এ বিষয়ে বাদিপক্ষ আমাকে অভিযোগ দিয়েছেন। আমি বিবাদী পক্ষকে বসার জন্য ডাকলে তারা আসেনি। তিনি বলেন, বিবাদী পক্ষ এরা সবাই মাদক কারবার এবং কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জড়িত। এরা এলাকায় আদিপত্য বিস্তার হতে শুরু করে সব ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। আমি এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ডালিম বলেন, বাদিপক্ষ আমার কাছেও অভিযোগ দিয়েছে। বিবাদীপক্ষ এরা সবাই মাদক কারবারের সাথে জড়িত। এদেরে বিরুদ্ধে  আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (সাব- ইন্সপেক্টর) মো: বেলাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা একজন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

Tags :

Share News

Copy Link

Comments *