ছাগলনাইয়ার মেয়র মোস্তফার বিরুদ্ধে ৩ ছাত্রলীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন
- Updated Jan 29 2024
- / 583 Read
নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় তিন ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে পুলিশে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার মেয়র মো. মোস্তফার বিরুদ্ধে। রবিবার বিকালে ফেনীর একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও ভুক্তভোগী মো. আইয়ুব চৌধুরী।
এসময় তিনি বলেন, ২৫ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর থানা থেকে আমি এবং আমার বন্ধু ছাত্রলীগ নেতা আশরাফ উদ্দিন ও জহিরুল ইসলাম শাকিল শুভপুর রোড়ে সিএনজিতে উঠার জন্য শহীদ আবদুর রাজ্জাক সড়ক দিয়ে হাঁট ছিলাম। কিছুক্ষন হাঁটার পর দূর থেকে আমরা কিছু লোক দেখতে পাই। আপনারা জানেন যে, এর আগের দিন রাতে থানা পাড়ায় একটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। ঘটনা সম্পর্কে আমরাও অবগত ছিলাম। পূর্বের ঘটনা স্থলের কাছাকাছি যাওয়ার পর আমরা দেখতে পাই ছাগলনাইয়া পৌরসভার মেয়র এম. মোস্তফা সাহেব ৪০/৫০ জন লোক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা তিন জন মেয়র মহোদয় কে দেখে সম্মানের সহিত সালাম দিয়ে তার সামনে এগিয়ে যাই। কারন তার সাথে আমাদের সু-সম্পর্ক ও তিনি আমাদের দলীয় লোক। তার সামনে এগিয়ে যেতে তিনি আমাদের দিকে তেড়ে আসে এবং আমাদেরকে বলে আজকে পাইছি তোদের। এরপর সাথে সাথে উনি এবং উনার সাথে থাকা লোকজন আমাদেরকে মারধর করা শুরু করে এবং মেয়র সাহেবের কোমরে থাকা অস্ত্র বের করে অস্ত্র দিয়ে আমার মাথায় সজোরে আঘাত করে এবং আমার সাথে থাকা আমার বন্ধু আশ্রাফ এর নাকের উপর আঘাত করে। আঘাত করার সাথে সাথে আশ্রাফ মাটিতে লুটে পড়ে যায় এবং আমাদের তিনজনকে টেনে হিছড়ে জোর করে একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন বদ্ধ ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে আমাদেরকে লাঠিসোঠা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নীলা ফুলা জখম করে এবং আমাদেরকে বিবস্ত্র করে ছবি ও ভিডিও করার চেষ্টা করে। তার সাথে থাকা অস্ত্রের বুলেট নিয়ে আসে, বুলেট গুলো এবং ইয়াবা ডুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যা মেঝেতে চড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে যায়। যাহা একটি ভিডিওর মাধ্যমে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হইয়েছ। আপনারা সকলে দেখেছেন। আমাদের পকেটে দেওয়ার জন্য জোর জবরদস্তি করে। আমার বন্ধু আশ্রাফের সাথে থাকা মোবাইল ফোন মডেল: রেডমি নোট ১২, মোবাইল নাম্বারঃ ০১৮৭০-৩৫২৩৬৪ এবং আমার বন্ধু জহিরুল ইসলাম (শাকিলের) মোবাইল ফোন যার মডেল: স্যামসাং এ১০, মোবাইল নম্বর : ০১৯৭৬-৯৭৮৮৪০ এবং জহিরুল ইসলামের পকেটে থাকা নগদে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা নিয়ে যায়। এছাড়াও আমার পকেটে থাকা আমার খামারের গরু ও মুরগীর বিক্রির আনুমানিক ২,৬৩,০০০/- (দুই লক্ষ তেষট্টি হাজার) টাকা জোর পূর্বক মেয়র সাহেবের সাথে থাকা লোকজন নিয়ে যায়। একপর্যায়ে পূর্বের ঘটনার বাসার লোকজন আসে, তারা বলতে থাকে এই ছেলে গুলো না, অন্য ছেলেরা ছিল। মেয়র সাহেব চিৎকার করে বলে, এরা না হলে নাই। এদেরকে মেরে ফেলে দিবো। তার কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসে এবং সেখান থেকে আমাদের তিন জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর মেয়র সাহেবের সরাসরি নির্দেশে একটি ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলায় আমাদের তিনজনকে আসামী করে পুলিশ কোর্টে প্রেরণ করে এবং আমরা জামিনে মুক্ত হই।
আমাদের সাথে এহেন নেক্কার জনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এবং তার পাশাপাশি আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মহোদয়, মাননীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মহোদয় এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি মেধাবী ছাত্র নেতা সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান ভাই এবং ফেনী-১ আসনের এমপি আলা উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম মহোদয় এবং ফেনী-২ আসনের সাংসদ জননেতা নিজাম উদ্দিন হাজারী এম.পি মহোদয় সহ সবার নিকট বিচার প্রার্থনা করি।
আমাদের থেকে নিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ও আমার ব্যবসায়িক আনুমানিক ২,৬৩,০০০/- (দুই লক্ষ তেষট্টি হাজার) টাকা ফেরত চাই। না হয় আমার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়াও এই খুনি, ভূমি দস্যু, এম. মোস্তফা এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছ থেকে আমাদের তিনজন এবং আমাদের পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা চাই।
Share News
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
সর্বাধিক পঠিত