নোয়াখালীতে পরাজিত প্রার্থীর এজেন্টকে কুপিয়ে হত্যা
- Updated Jan 15 2024
- / 428 Read
নোয়াখালী প্রতিনিধি;
নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক এজেন্টকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব মির্জানগর গ্রামে গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে কে বা কারা এবং কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।নিহত ব্যক্তির নাম শাহেদুজ্জামান পলাশ (৩৫)। পূর্ব মির্জানগর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোনাইমুড়ীর পূর্ব মির্জানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে কাঁচি প্রতীকের পোলিং এজেন্ট ছিলেন শাহেদুজ্জামান। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাত ১০টার দিকে পূর্ব মির্জানগর গ্রামের নিজ বাড়ির পাশের খালি জায়গায় রক্তাক্ত অবস্থায় শাহেদুজ্জামানের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। তাঁর কপাল ও মুখে ধারালো অস্ত্রের আঘাত দেখা গেছে। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি সোনাইমুড়ী থানা–পুলিশকে অবহিত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।শাহেদুজ্জামান কাঁচি প্রতীকের পোলিং এজেন্ট ছিলেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক অভিযোগ করে বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট ও অবৈধ প্রভাব বিস্তারের প্রতিবাদ করায় ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন থেকে নৌকার প্রার্থীর কর্মী সমর্থকেরা শাহেদুজ্জামানকে হুমকি দিয়ে আসছে। এর জেরে তাঁকে খুন করা হতে পারে।এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন নৌকার বিজয়ী সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম। তাঁর দাবি, তিনি গত ১০ বছরের সংসদ সদস্য থাকাকালে এলাকায় কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা কিংবা হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী তাঁকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে অপপ্রচারে নেমেছেন। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানার পর তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সোনাইমুড়ী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মোহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, শাহেদুজ্জামান একসময় বিদেশে থাকতেন। দেশে আসার পর এলাকায় মাছ ও মুরগির খামার করেন। স্ত্রী নিয়ে তিনি শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। দিনের বেলায় নিজের বাড়িতে আসতেন এবং খামার দেখাশোনা করতেন।
গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহেদুজ্জামানের সঙ্গে তার স্ত্রীর ভিডিও কলে সর্বশেষ কথা হয়েছিল। কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, এ বিষয়ে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Share News
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
সর্বাধিক পঠিত