২১ নভেম্বর, ২০২৪ || ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
পরশুরাম সীমান্ত চোরাকারবারীদের নিরাপদ রুট!
  • Updated Jan 01 2024
  • / 441 Read

পরশুরাম প্রতিনিধি;
পরশুরাম উপজেলার পৌর এলাকাসহ তিনটি ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদকসহ কোটি কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি, চিনি, পেঁয়াজ, নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ ভারতীয় অবৈধ পন্য ঢুকছে। পরশুরামের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাচালান অনেকটা প্রকাশ্যে চলছে। এই সীমান্ত এলাকা চোরাকারবারীদের নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে। 
প্রতিদিন রাত দশটার পর থেকে শুরু করে ভোর পাঁচটা সাড়ে পাঁচটা পর্যধন্ত অবাধে চলছে চোরাকারবার। মাদকসহ সব ধরনের চোরাচালান আসছে অবাধে। স্থানীয় বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনও বিষয়টি অবগত রয়েছেন। মির্জানগর ইউনিয়নের চোরাচালানের পণ্য মজুদ রাখা হয় কলেজ রোডস্থ ভাই ভাই কমিউনিটি সেন্টারে, বিলোনিয়া, বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের চোরাচালানের পণ্য মজুদকরা হয় দুটি পৃথক সরকারি প্রতিষ্টানে।


রোববার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের সময় ঢাকার একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত রাসেল চৌধুরী নামের জৈনেক ব্যাংকার পরশুরাম থেকে ঢাকার যাবার জন্য বিলোনিয়া মসজিদের সামনে সিএনজি স্ট্রেশনে যান। ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের সময় সিএনজি স্ট্রেশনে একাধিক সিএনজি দেখতে পেয়ে সিএনজির দিকে এগিয়ে গেলে চালক জানান এখন যাত্রী নেয়া যাবেনা আমরা মাল নিয়ে যাচ্ছি। এসময় ওই স্থানে আরো কয়েকজন মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন তারা বলেন এই এলাকার চোরাকারবার অনেকটা প্রকাশ্যে চলছে। চোরাচালিরা সবার সামনে দিয়ে ট্রাক, পিকআপ ও সিএনজি যোগে প্রতিদিন সারা রাত মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল পরশুরাম, ফেনী নিয়ে যায়। অনেকটা দিনদুপুরে চোরাকারবার চলে এই সীমান্ত এলাকা দিয়ে। চোরাকারবারিরা সবাই চিহ্নিত স্থানীয়দের ভাষায় তাদেরকে প্রভাবশালী বলা হয়। বিজিবি পুলিশ দেখলেও না দেখার ভান করে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।


একই ভাবে পরশুরাম পৌর এলাকার বিলোনিয়া, বাউরপাথর, বাউরখুমা, বাঁশপদুয়া, বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের নরনীয়, কেতরাঙ্গা, চিথলিয়ার রাজেষপুর, মির্জানগর ইউয়িনের জয়ন্তীনগর বিজিবির ক্যাম্পের সামনে দিয়ে, মহেষপুষ্করনী, মধুগ্রাম, পশ্চিম সাহেবনগর সীমান্তসহ বেশ কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন কোটি টাকার ভারতীয় মাদক, শাড়ী, চিনি, পেঁয়াজ, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন অবৈধ মালামাল বাংলাদেশের পরশুরাম বাজারের বিভিন্ন দোকানসহ ফেনীর ইসলামপুর রোডের আড়তদার, চট্রগ্রামের খাতুনগঞ্জ, ঢাকাসহ বিভিন্ন শহর এলাকায় নিয়ে যাচ্ছে।
মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ফজলুল বারী মনছুর  দৈনিক স্টার লাইন পত্রিকাকে বলেন, প্রতিদিন প্রতিরাতে লাখ লাখ টাকার চিনি, শাড়ী, পেয়াজসহ বিভিন্ন ধরণের ভারতীয় পন্য অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকছে। স্থানীয় বিজিবি ও পুলিশ জানে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে  মেম্বার মনছুর বলেন চোরাচালানতো অনেকটা প্রকাশ্যেই হচ্ছে সবাই দেখতেছে তাহলে প্রশাসন দেখে কিনা সেটাতো আমার জানা নাই। মনছুর আরো বলেন, এসব নিয়ে আমার কথা বলার সাহস নেই সবকিছু নিরবে সহ্য করতে হবে।

 

Tags :

Share News

Copy Link

Comments *