নিজস্ব প্রতিনিধি;
ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার কথা ছিল বাবা-ছেলে ও স্বামী-স্ত্রীর। কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনি। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে বাদ পড়লেন ছেলে ও স্ত্রী। অবশেষে ছেলে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন কিন্তু বাবা প্রত্যাহার করে নিলেন মনোনয়ন পত্র। ঘটনাটি ২৬৭ ফেনী-৩ আসনের।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) আসনে দলীয় ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে দুইজন হলেন বাবা ও ছেলে। দুইজন স্বামী ও স্ত্রী। একই আসনে বাবা-ছেলে ও স্বামী-স্ত্রী প্রার্থী হওয়ায় বেশ আলোচনা চলছিলো পুরো নির্বাচনী এলাকাজুড়ে। কিন্তু না সেটি বেশিদূর এগোইনি।।

সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল বাশার ও তার ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশতিয়াক আহম্মেদ সৈকত এবং সৌদি আরবের জেদ্দা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্যাহ, তার স্ত্রী জেদ্দা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি পারভীন আক্তার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিনে ইঞ্জিনিয়ার ইশতিয়াক আহম্মেদ সৈকত ও পারভীন আক্তার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১% ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর সংক্রান্ত জটিলতায় বাদ পড়েন। অপরদিকে একই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে আসন সমঝোতায় মহাজোটকে ছেড়ে দেয়ায় নৌকার প্রার্থী আবুল বাশার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। এর আগের তিনবার তিনি নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন। একে একে চার বার সংসদে যাওয়ার বাসনা শেষ হয়ে গেল সাবেক যুবলীগ নেতা আবুল বাশারের। এবারও দলের সিদ্ধান্তে তাকে সরে যেতে হলো। এতে করে বাবা ও স্ত্রী নির্বাচনী মাঠ থেকে ছিটকে পড়লেন। অবশেষে ছেলে সৈকত হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

এ আসনে প্রতীক প্রাপ্তরা হলেন- জাতীয় পার্টির লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র হাজী রহিম উল্যাহ (ঈগল), তৃণমুল বিএনপির আজিম উদ্দিন আহমেদ (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির তবারক হোসেন (একতারা), ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. আবু নাসের (চেয়ার), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নিজাম উদ্দিন (মোমবাতি), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট জোবায়ের ইবনে সুফিয়ান (ছড়ি), আনোয়ারুল কবির রিন্টু আনোয়ার (বাঁশি), আবুল কাশেম আজাদ (ট্রাক), ইঞ্জিনিয়ার ইশতিয়াক আহম্মেদ সৈকত (কাঁচি)। 
মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়া আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আবুল বাশার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবারের জাতীয় নির্বাচনকে আরেকটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন হাজী রহিম উল্যাহ। তিনি বলেন, নির্বাচন করার জন্য দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাঁধা নেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা আরেকবার প্রমাণ করতে চাই। দশম জাতীয় নির্বাচনের মতো ভোটাররা আমাকে আবারও নির্বাচিত করবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাবো। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ফেনী-৩ আসনে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তিনি প্রার্থীদের প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্গন না করার আহ্বান জানান