ইতালিতে বাংলাদেশি জুয়াইরিয়ার চিকিৎসা গবেষনা সফলতার পথে
- Updated Dec 19 2023
- / 450 Read
দিলরুবা জামান:
জুয়াইরিয়া উদ্দিন দেখা। বাড়ি বরিশালে। মাত্র ৪ বছর বয়সে বাবা মোঃ আকতার উদ্দিন এবং মা জেসমিন আক্তারের সাথে ইতালি আসেন। জুয়াইরিয়ার শিক্ষা জীবন শুরু হয় ভেনিসের চেজারে বাত্তিসতি স্কুল থেকে। ছোটবেলা থেকে দেখা প্রচন্ড মেধাবী ছিলেন। জুলিয়া চেজারে স্কুলে মাধ্যমিক করার সময় থেকে তার মেধায় মুগ্ধ হতে শুরু করেন ক্লাস টিচাররা।
লুইজি স্তেফানিন কলেজ থেকে ইন্টার লেভেল পাশ করে দেখা ইতালির বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় দেইলি ইসতুদি দি ফেররারা থেকে বায়ো টেকনলজি ফর হেল্থ বিষয়ে ৩ বছরের অনার্স শেষ করেন।
দেখা একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি মেডিকেল বায়ো টেকনলজি বিষয়ে ২ বছরের মাসটার্স সম্পন্ন করেন। দেখা মেডিকেল বায়ো টেকনলজিতে মাস্টার্স করার সময়ে গবেষনার বিষয় হিসাবে বেছে নেন সিএক্স ৪৯৪৫ বা ব্লাড ক্যানসারের সিলমিতা সেরতিভ প্রতিষেধকের কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং রক্তের ক্ষতিকর সেল গঠন প্রক্রিয়া।
গত ১৫ ডিসেম্বর তারিখে দেখার মাসটার্সের শেষ প্রেজেনটেশন ছিলো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ইতালির ৯ জন বিখ্যাত প্রফেসরদের কমিশনে দেখাসহ মোট ১৬ জন শিক্ষার্থী তাদের তেইজি বা থিসিস উপস্থাপন করেন। দেখা তার গবেষণাপত্রে লিখেছেন, ব্লাড ক্যানসারের কিছু কোষ ধ্বংশ করতে তার গবেষণা লব্ধ প্রতিষেধক কতোটা কার্যকর এবং এটা মানব দেহে কী উপায়ে কাজ করবে।
দেখার গবেষণা লব্ধ সিএক্স ৪৯৪৫ ইদুরের উপর প্রয়োগ করে দেখা গেছে এটির কার্যকারীতা প্রায় শতভাগ।
দেখার গবেষণা ব্লাড ক্যানসারের বিশেষ কিছু সেল চিহ্নিত করতে এবং ধ্বংশ করতে প্রথম ফেইজে কার্যকর হওয়ায় এখন তা দ্বিতীয় ফেইজ হিসাবে ল্যাব টেষ্টে পাঠানো হয়েছে। সব ঠিক থাকলে এর পরে ক্লিনিক টেষ্টের জন্যে পাঠানো হবে।
দেখার প্রফেসর ভেরেনিকা তিজাতো বলেন, দেখার গবেষণার ফল প্রথম ফেইজে যেমন কাজ করেছে, পরের ফেইজগুলোতেও তা অব্যাহত থাকলে পৃথিবীর চিকিৎসা বিজ্ঞানে আলোড়ন সৃষ্টি করবে।
প্রেজেনটেশন অনুষ্ঠানের কমিশন প্রফেসররা জানান, ৭৮ পৃষ্ঠার গবেষণাপত্র লিখেছেন দেখা। যা তার গ্রুপের সব চেয়ে বড় থিসিস।
আগামী বছর ইতালির জাতীয় রিসার্চ কংগ্রেসে দেখার সম্পূর্ণ ইংরেজিতে লেখা থিসিস উপস্থাপন করা হবে এবং এর পরে তা ইতালিসহ পৃথিবীর বিখ্যাত জার্নালগুলোয় প্রকাশ হবে।
Share News
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
সর্বাধিক পঠিত