ফেনীতে শীতের তীব্রতায় সাধারন মানুষের দূর্ভোগ
- Updated Dec 13 2023
- / 442 Read
মোঃ কামরুল হাসান;
ঘন কুয়াশা না থাকলেও মৃদু শৈত প্রবাহের কারণে ফেনীসহ আশপাশের উপজেলায় সর্বত্রই শীতের তীব্রতা বাড়ায় জুবু-থুবু হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষেরা। দিনের মাত্র ২ থেকে ৩ ঘন্টা সূর্য্যের মুখ দেখা গেলেও গরমের উষ্ণতা তেমন নেই। সকালে প্রচন্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে কর্মক্ষেত্রে ছুটে যাচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ।
সেই সাথে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম আঘাত হানে দক্ষিণ ভারতের অন্ধপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে। কিন্তু এর প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হয়ে গেলেও গত কয়েকদিন ধরে হালকা হিমেল বাতাসের ঝাঁপ্টায় দূর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। কয়েকদিন ধরে তারই বার্তা দিয়ে যাচ্ছে আবহাওয়া অফিস। দিনের বেলায় সূর্য্যের মুখ দেখা গেলেও আবার কিছুক্ষণ থাকার পরই সূর্য্যও ঢেকে যাচ্ছে কুয়াশার চাদরে।
জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে ছিন্নমূল মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। সারা দেশের মত এই জেলাও তীব্র শীতে জন জীবন বিপর্যস্ত। গতকাল জেলা শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও ফুটপাতে গিয়ে দেখা যায়, স্বচ্ছল বিত্তবান মানুষ শহরের বিভিন্ন মার্কেট থেকে শীতের গরম কাপড় ক্রয় করতে পারলেও গতবারের তুলনায় এবার শীতবস্ত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারন মানুষ গরম কাপড় ক্রয় করতে পারছে না। ফলে মধ্যম ও নিম্ন আয়ের জনগণ শহরের রাস্তার পাশ্বের ফুটপাতের দোকান থেকে নতুন ও পুরাতন কম্বল, সোয়েটার, জ্যাকেট, শিশুদের বিভিন্ন শীতবস্ত্র ক্রয় করে শীত নিবারণের জন্য দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
কর্মজীবী হাকিম পাটোয়ারী জানান, অসহায় গরীব-দুস্থ, ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র শ্রেণীর মানুষের জন্য এখন পর্যন্ত সরকারী ভাবে কোন শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নি। জরুরী ভিত্তিতে সরকারী-বেসরকারীভাবে শীত বস্ত্র বিতরণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে হত দরিদ্র ও ছিন্নমূলের মানুষেরা। প্রতি বছরই এই সময়ে শীত আসে। এতে করে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগও বাড়ছে। হতদরিদ্র শ্রেণীর মানুষকে শীতের কবল থেকে রক্ষা করতে সরকারী বা বেসরকারী ভাবে বিভিন্ন এনজিও এবং সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
Share News
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
সর্বাধিক পঠিত