২১ নভেম্বর, ২০২৪ || ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
শিক্ষক শাহ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি
  • Updated Dec 04 2023
  • / 431 Read


সোনাগাজী প্রতিনিধি:
সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের পাইকপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহ আলমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রমাণ পায়নি তদন্ত কমিটি।
উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা আনসার-ভিডিপি অফিসার রাবেয়া সুলতানা নাজমা এবং কমিটির সদস্য ও সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ওয়াহিদুজ্জমান গত ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসানের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।


তদন্ত কমিটির প্রধান রাবেয়া সুলতানা নাজমা দৈনিক স্টারলাইন প্রতিনিধিকে বলেন, শিক্ষক শাহ আলমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদেরকে যৌন হয়রানির সু-স্পষ্ট স্বাক্ষী প্রমান পাওয়া যায়নি। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর আমরা একাধিকবার বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এসএমসির সদস্যদের সাথে কথা বলেছি। তবে তিনি শিক্ষার্থীদের অরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলতেন। নিয়মবহির্ভূত ভাবে মারধর করতেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান বলেন, শিক্ষক শাহ আলমের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের সু-স্পষ্ট তথ্য-প্রমান পাওয়া যায়নি। তবে শিক্ষার্থীদেরকে ওই শিক্ষক বকাঝকা ও বেত্রাঘাত করতেন বলে প্রমাণ মিলেছে।
গত ১৫ অক্টোবর কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৮ অক্টোবর যৌন হয়রানির বিষয়টি তদন্ত করার জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে এই প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।


উল্লেখ্য, পাইকপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহ আলমের বিরুদ্ধে গত ১৫ অক্টোবর শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। কয়েকজন অভিভাবক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবরাজ রাজু ও এসএমসির সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম রিপাতের নিকট যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন বলে জানা গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান গত ১৮ অক্টোবর যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তে উপজেলা আনসার-ভিডিপি অফিসার রাবেয়া সুলতানা নাজমাকে প্রধান করে ও সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. ওয়াহিদুর রহমানকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করেন। 
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিদ্যালয়ের ২জন শিক্ষকের সাথে শিক্ষক শাহআলমের দ্বন্ধ ছিলো। এই দ্বন্ধকে কাজে লাগিয়ে কিছু শিশু ছাত্রী ও অভিবাবককে ফুসলিয়ে এই অভিযোগ আননয়ন করেন। ঘটনার পরপর একাধিক ছাত্রী সাংবাদিকদের কাছে এই কথা স্বীকার করে একজন শিক্ষিকা তাদেরকে শাহ আলম স্যারের বিরুদ্ধে বলতে শিখিয়ে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলো। যা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

Tags :

Share News

Copy Link

Comments *