পরশুরাম-সুবার বাজার সড়কে ৮ দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ
- Updated Nov 26 2023
- / 561 Read
পরশুরাম প্রতিনিধি;
পরশুরাম সুবার বাজার সড়কে গত আট দিন যাবত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। মেলাঘর রাস্তার মাথায় নির্মাণাধীন একটি ব্রিজের নিম্নমানের বিকল্প সড়ক ভেঙে যাওয়ায় সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও মির্জানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ একাধিক জনপ্রতিনিধি ইতিপূর্বে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করলেও সংলিষ্টরা কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
ফলে পরশুরাম-সুবার বাজার সড়কের সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় উপজেলা মির্জানগর ইউনিয়ন এবং চিথলিয়া ইউনিয়নের একাংশের কয়েক হাজার বাসিন্দা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা বিকল্প সড়কে পশ্চিম সাহেবনগর হয়ে গদানগর হয়ে পরশুরাম আসতে দীর্ঘ সময়ের পাশাপাশি বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে। তাছাড়া সড়কটি সরু হওয়ায় শুধুমাত্র সিএনজি চলাচল করা করতে পারে। পিকআপসহ বড় কোন যানবাহন চলাচল করা সম্ভব হচ্ছেনা এতে সুবার বাজারের ব্যবসায়ীসহ মির্জানগর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
পরশুরাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহাব চৌধুরি বলেন, সুবার বাজার-পরশুরাম সড়কের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ আজ ৮দিন। গ্রাম্য বিকল্প সড়ক ব্যবহারে প্রতিদিন হচ্ছে দূর্ঘটনা। ছাত্রলীগ নেতা আরো বলেন, গত ১৮ তারিখ বৃষ্টির পানিতে সুবার বাজার-পরশুরাম সড়কের মেলাঘর রাস্তার মাথার ব্রিজের বিকল্প সড়কটি ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। আজ ৮ দিন হয়ে গেলেও কেউ এগিয়ে আসেনি এটি মেরামতে করতে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় নিচ্ছে এ ব্রিজের কাজে এজন্য সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত কষ্ট পাচ্ছে।
এ বিষয়ে এলজিডি উপজেলা প্রকৌশলী এস এম শাহ আলম ভূঁইয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান ঠিকাদারকে রাস্তা মেরামত করে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিবেন। ৮ দিন পরেও সড়ক মেরামত করে যান চলাচল উপযোগী করা হয়নি কেন জানতে চাওয়া হলে, তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।
জানা যায়, উপজেলার পরশুরাম সুবার বাজার সড়কে মেলাঘর রাস্তার মাথায় একটি ব্রিজ নির্মাণ কাজ চলছে এতে অত্যন্ত নিম্নমানের এবং নাম মাত্র একটি বিকল্প সড়ক করায় গত দুই বছর যাবত একাধিকবার বিকল্প সড়কটি ভেঙ্গে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তবুও উপজেলা প্রকৌশলীকে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। জানা যায় ঠিকাদার উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে আতাত করে প্রকল্পের বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য গত দুই বছর যাবত নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছে।
Share News
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
সর্বাধিক পঠিত