সেবায় গতি এসেছে ফেনীর প্রধান ডাকঘরে
- Updated Nov 19 2023
- / 438 Read
নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফেনী জেলার প্রধান ডাকঘরে সেবার মান ও গতি বেড়েছে। সাধারণ মানুষ সহজে হয়রানীমুক্ত সেবা পাচ্ছেন ফেনীর প্রধান ডাকঘরে। বেড়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। পোস্ট মাস্টার মো. তাজুল ইসলামের যোগদানের পর এ চিত্র দেখা গেছে জেলা পর্যায়ে নাগরিক সেবার এ কেন্দ্রে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত ফেনী জেলার প্রধান ডাকঘরে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যেই সেবা নিতে হতো গ্রাহকদের। এ কার্যালয়ে হয়রানী ছাড়া সেবা পাওয়া ছিলো আকাশ কুসুম বিষয়। অসাধু কর্মকর্তাদের আস্কারায় কিছু কর্মচারীর অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারীতাই যেন হয়ে ওঠে এ কার্যালয়ের নিয়ম। তাদের আইনবিরোধী প্রভাবে সেবা দেয়ার মানসিকতা পোষনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সব সময় কোনঠাসা হয়ে থাকতে হতো। কিন্তু বিগত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ফেনী জেলা ডাকঘরে পোস্ট মাস্টার পদে যোগদান করেন মো. তাজুল ইসলাম। তার যোগদানের ১বছর শেষ হওয়ার আগেই তিনি এ কার্যালয়ে শৃঙ্খলা ফিরে আনেন। তার যোগ্যতা, দক্ষতা আর কর্মতৎপরতায় নিয়মে ফিরেছে জেলার প্রধান ডাকঘরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী। বর্তমানে জনগুরুত্বপূর্ণ এ কার্যালয়ে সেবা নিয়ে গ্রাহকরা স্বস্তি ও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
কংকা রানী দাস নামের এক নারী জানান, আমার স্বামীর নামে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত জেলা ডাকঘরে একটি সঞ্চয়পত্র নিয়ে আমি লেনদেন করে আসছি। বিগত সময়ে এ কার্যালয়ে লেনদেন করতে আসলে কর্মচারীদের টাকা না দিলে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হতো। দিনের পর দিন ঘুরতে হতো। বাধ্য হয়ে ঘুষ দিয়ে জমানো টাকা উত্তোলন করতে হতো। কিন্তু গত কয়েকমাস এ অফিসে টাকা ছাড়াই সেবা পেয়েছি। জেলা কর্মকর্তা সৎ মানুষ হওয়া এখন কেউ ঘুষ চাওয়ার সাহস পায়না।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এক সেবাগ্রহিতা জানান, ২০২২ সালে আমি ২০ লাখ টাকা তুলতে এসে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। ২০২৩ সালে টাকা তুলতে এসে কোন ঘুষ দিতে হয়নি। বরং যেদিন আবেদন করেছি; সেই দিনই টাকা তুলতে পেরেছি। জেলা ডাকঘরে পূর্বে এমন সেবা পাওয়া গেলে মানুষের আস্থা ও ভরসা আরও বাড়তো। এখন এ কার্যালয়ে কাজে গতি এসেছে। হয়রানীমুক্ত সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
জেলা পোস্ট মাস্টার মো. তাজুল ইসলাম জানান, এ কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র, মেয়াদী বীমা ও সাধারণ একাউন্টসহ নানা ধরনের আর্থিক সেবা দেয়া হয়। আমি যোগদানের পর সততার সাথে মানুষকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিশেষ করে হয়রানীমুক্ত সেবা দানে জিরোটলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছি। এতে করে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাঝে কাজের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা সৃষ্টি হওয়ায় কার্যক্রমে গতি বেড়েছে। জেলা ডাকঘরে উন্নত সেবায় এ ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। এ জন্য সবার সহযোগিতা ও দোয়া চাই।
Share News
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
সর্বাধিক পঠিত