ফেনীতে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি সড়কে ভেঙে পড়েছে গাছ, জমিতে হেলে পড়েছে ধান
- Updated Nov 18 2023
- / 466 Read
নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ফেনীতে সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়া বইছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে বাতাসের তীব্র চাপে গাছ ভেঙে রাস্তায় পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ঝড় ও বাতাসের কারণে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে পাকা ও আধাপাকা ধান নুয়ে পড়েছে। বাতাসে বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ও বিভিন্ন স্থানে লাইনের উপর গাছ ভেঙে পড়ায় রাত ৮ টা পর্যন্ত জেলার বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
জানা যায়, সোনাগাজীর উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ের আঘাতে বেশকিছু বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় গাছ ভেঙে পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবকরা জরুরি ভিত্তিতে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছেন। উপজেলায় অন্তত ৫ হাজার হেক্টর আমনের পাকা-আধাপাকা ধান জমিতে হেলে পড়েছে। দূর্ঘটনা এড়াতে শুক্রবার বিকাল থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। সোনাগাজীর উপকূলীয় ৪টি ইউনিয়নে ৪৪টি স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে (সাইক্লোন শেল্টার), ১২টি মেডিকেল টিম এবং ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান।
এদিকে ফেনী-পরশুরাম সড়কের কাজিরবাগ ইউনিয়নে গাছ ভেঙে পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সেখানেও রাস্তা স্বাভাবিক করতে কাজ চলমান রয়েছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, জেলার প্রতিটি উপজেলায় হাজার হাজার হেক্টর আমন ধান জমিতে ঢলে পড়েছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে জরুরী ভিত্তিতে ধান কেটে ঘরে তুলতে হবে। বৃষ্টি বন্ধ না হলে ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষকরা। ঝড়ের কারণে ধানের তেমন ক্ষতি না হলেও রবিশস্য আবাদ পিছিয়ে যেতে পারে।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান জানান, আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুদ রাখা হয়েছে। স্যানিটেশন ও সুপেয় পানির জন্য বিশুদ্ধকরণ ৪ হাজার ট্যাবলেট রয়েছে। পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতিবেদনটি রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রস্তুত করা হয়েছে। তাই ওই সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।
Share News
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
সর্বাধিক পঠিত