০২ এপ্রিল, ২০২৫ || ১৯ চৈত্র, ১৪৩১
ওবায়েদ-উল-হকের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি
  • Updated Nov 01 2023
  • / 502 Read


স্টার লাইন ডেস্ক;
বরেণ্য বুদ্ধিজীবি ও গুনীজন ফেনীর কৃতিসন্তান ওবায়েদ-উল-হকের ১১২তম জন্মবার্ষিকী ছিলো গতকাল (৩১ অক্টোবর)। এই দিনটি ঘিরে তার স্বজন ও শুভাকাংখীরা গভীর শ্রদ্ধায় তাকে স্মরণ করেছেন।
১৯১১ সালে ফেনীর সম্ভ্রান্ত খান পরিবারে ওবায়েদ উল হক জন্মগ্রহণ করেন। পিতা বজলুল হক খান ছিলেন স্বনামধন্য আইনজীবী ও বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য। তাঁর মায়ের নাম আঞ্জুমান নেসা। ফেনীর বিখ্যাত শপিংমল 'গ্র্যান্ড হক টাওয়ার' তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। 


ওবায়েদ উল হক ছিলেন আমাদের দেশের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। তিনি পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় সাংবাদিকতা পেশায় সম্পৃক্ত ছিলেন। একাধারে ছিলেন একজন লেখক, কবি, ঔপন্যাসিক, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, সুরকার, গীতিকার। তিনি দীর্ঘকাল ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ অবজারভার-এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ছোটবেলা থেকেই শিল্প-সাহিত্যের প্রতি তাঁর ঝোঁক ছিল প্রবল। বিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালেই তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। প্রথম কবিতা সওগাত পত্রিকায় ছাপা হয় মাত্র ১০ বছর বয়স। এরপর বিভিন্ন ম্যাগাজিন এবং লিটল ম্যাগে নিয়মিত তাঁর কবিতা ছাপা হতে থাকে। 


১৯৩৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি দর্শন ও মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৩৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন কোর্স সম্পন্ন করেন। বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়ে ওবায়েদ উল হক সার্কেল অফিসার হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। পরে তিনি কুমিল্লায় ঋণ সালিশি বোর্ড-এর সেটেলমেন্ট অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর বিরোধ হওয়ায় তিনি ১৯৪৪ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে লেখালেখিতে মনোযোগী হন।
আজন্ম তিনি সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রেস ইন্সটিটিউট গড়ার কাজে আহ্বায়ক করা হয় ওবায়েদ উল হককে। তিনি পিআইবির (প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ) প্রথম চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।
তিনি একাধারে ছিলেন এডিটরস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান, নজরুল ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। অর্ধশতাব্দির বেশি সময় ধরে তিনি জড়িয়ে রয়েছেন সাংবাদিকতায়।

Tags :

Share News

Copy Link

Comments *