২১ নভেম্বর, ২০২৪ || ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলতে ফেনীতে কিছু নাই’ -নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি
  • Updated Oct 25 2023
  • / 434 Read

ফেনীর দশমীঘাটে শুভেচ্ছানুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন 

নিজস্ব প্রতিনিধি: 
ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি বলেছেন, প্রশাসনের সকল দপ্তর, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব এবং আনসার সদস্যরা যেভাবে সবাই আন্তরিকভাবে দায়িত্বপালন করেছে; সে জন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের কোথায়ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠানে কোন সমস্যা হয়নি। আগামী নির্বাচনে আপনারা নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পূনরায় প্রধানমন্ত্রী বানাবেন। আগামীতে প্রধানমন্ত্রী ফেনীতে যাকে নৌকার প্রতিক নিয়ে আমাদের কাছে পাঠাবেন; তাকে ভোট দেবেন। তাহলে আপনারা রাস্ট্রীয় সকল নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে শান্তিতে দেশে বসবাস করতে পারবেন। আপনারা নিজেদেরকে কোন প্রকারে দুর্বল ভাবার কারণ নেই। আমরা আপনাদের পাশে আছি। আওয়ামীলীগ সরকার আপনাদের পাশে আছে। শেখ হাসিনা অপনাদের পাশে আছে। আপনাদের ভয়ের কোন কারণ নেই। আমরা সবাই ভাই ভাই। ফেনীতে কেউ সংখ্যালঘু; কেউ সংখ্যাগুরু বলতে কোন শব্দ নেই।


নিজাম হাজারী এমপি গতকাল বিকালে ফেনী-লালপোল সড়কের কালিপাল দশমী ঘাটে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ফেনী জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন, থোয়াই অং প্রু মারমা, ফেনী সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী।


ফেনী জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনীল নাথের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন ফেনী জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শুকদেব নাথ তপন, পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা এডভোকেট প্রিয়রঞ্জন দত্ত ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সমীর কর। 
বিকেল ৫টার পর থেকে ফেনীর কালীপালের দশমী ঘাটে দেবী দুর্গার বিসর্জন শুরু হয়। ফেনী কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দির থেকে আসা পূজা কমিটির প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর অন্যান্য পূজামণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে শেষ হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা। 

Tags :

Share News

Copy Link

Comments *