দুইমাস বন্ধ থাকার পর ফুলগাজীর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফের প্রসুতিদের সিজারিয়ান চালু
- Updated Oct 18 2023
- / 484 Read
সাহাব উদ্দিন ;
ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা. ফাহমিদা ইয়াসমিন নামে একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ জেলা সদর হাসপাতাল থেকে বদলি হয়ে এসেছেন গত কয়েকদিন আগে। তিনি একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ। এতে করে হাসপাতালে এখন দীর্ঘ দুই মাস পর ফের গাইনি সংক্রান্ত প্রসূতি নারীদের সিজারিয়ান সেকশানের মাধ্যমে সন্তান প্রসব চালু হয়েছে।
গাইনি বিষয়ক জুনিয়র কনসালট্যান্ট কামরুন্নাহার রলী জেলা সদর হাসপাতালে বদলি হয়ে চলে গেলে হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট পদটি শূন্য হয়ে থাকে গত দুমাস ধরে। এতে প্রসূতি নারীদের সিজারিয়ান সেকশান ব্যবস্হাসহ বন্ধ ছিল গাইনি সংক্রান্ত প্রসুতি নারীদের সেবা। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানাযায়, ডা. ফাহমিদা ইয়াসমিন নামে একজন গাইনি বিশেষজ্ঞকে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়েছে। এখন আর প্রসুতি নারীদের সিজারিয়ানসহ গাইনি সংক্রান্ত সেবা কার্যক্রমে আর বাধা থাকবেনা বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এর আগে হাসপাতালটিতে গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে নরমাল ডেলিভারিতে ২৩ শিশু জন্ম গ্রহণ করে। তার মধ্যে ১ দিনেই ৯ শিশুর নরমাল ডেলিভারিতে জন্মদিয়ে প্রসূতি সেবা কার্যক্রমে বেশ আলোচনায় আসে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। তবে একদিনে সর্বচ্চো ৯ জন প্রসূতি স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসবের ঘটনা এখন অব্দি এই হাসপাতালে এটিই প্রথম। এর আগে কখনোই নরমাল ডেলিভারিতে এত নবজাতকের জন্ম হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফ নার্সদের আন্তরিকতা ও দক্ষতার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছিল বলে দাবি এলাকাবাসীর।
কিন্ত দুই মাস পূর্বে গাইনিবিষয়ক জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. কামরুন্নাহার রলী জেলা সদর হাসপাতালে বদলি হয়ে চলে গেলে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি সংক্রান্ত সিজারিয়ান সেকশান সন্তান প্রসব সেবা কার্যক্রম একেবারে শূন্যের কোটায় নেমে আসে। ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আবুল আলম আজমীর বলেন, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রায় দীর্ঘ বছর পর প্রসুতিদের সিজারিয়ান সেকশান চালু হয়েছিল। এতে সিজারিয়ানের পাশাপাশি হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যাও বাড়ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) এখান থেকে জেলা সদরে বদলি হয়ে চলে গেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হটাৎ করে গাইনি সংক্রান্ত সেবা কার্যক্রম একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। এতে উপজেলার অনেক গরীব প্রসূতি নারীদের শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোতে মোটা অংকের টাকা দিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ যোগদানের ফলে এখানকার প্রসুতি নারীদের গাইনি সংক্রান্ত সেবা পেতে এখন আর বাধা থাকবেনা।
ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুবাইয়াত বিন করিম জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ যোগদান করেছেন। যার ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন নিয়মিত নরমাল ডেলিভারির পাশাপাশি সিজারিয়ান সেকশানও চালু রয়েছে।