৪০ লাখ পাউন্ডের কাইসেদোর দাম যেভাবে ১১ কোটি পাউন্ড
- Updated Aug 16 2023
- / 533 Read
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৪০ মিলিয়ন পাউন্ডে ইকুয়েডরিয়ান ক্লাব ইন্দেপেনদিয়েন্তে দেল ভালে (আইদিভি) থেকে ব্রাইটনে আসেন মোইসেস কাইসেদো। আড়াই বছর পর সেই কাইসেদোকে ব্রাইটন চেলসির কাছে বিক্রি করেছে ১১ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ডে। আড়াই বছরের পুরোটাও তিনি ব্রাইটনে খেলেননি। কেনার পর তাঁকে ধারে বেলজিয়ান ক্লাব বিয়ারশটে পাঠিয়ে দেয় ক্লাবটি। ক্লাবে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারের সংকটের কারণে গত বছরের জানুয়ারিতে তাঁকে লোন থেকে ফেরায় ব্রাইটন।
ধার থেকে ফেরার মাত্র দেড় বছরের মধ্যে সেই কাইসেদোকে এখন ব্রাইটন বিক্রি করল বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ দামি খেলোয়াড় হিসেবে। নেইমার ও এমবাপ্পের পরই এখন ২১ বছর বয়সী কাইসেদোর অবস্থান। প্রশ্ন হচ্ছে, এক বছর আগেও ফুটবল–দুনিয়ায় স্বল্প পরিচিত কাইসেদো কীভাবে নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গেলেন। আর কেনই–বা চেলসি তাঁর জন্য এত টাকা খরচ করল। শুধু চেলসিই নয়, লিভারপুলও রেকর্ড ১১ কোটি পাউন্ডে তাঁকে কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু কাইসেদো চেলসি ছাড়া অন্য কোনো ক্লাবে যেতে রাজি না হওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত তাঁকে স্টামফোর্ডের ব্রিজের ক্লাবটির কাছেই বিক্রি করেছে ব্রাইটন।
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ থেকে কম দামে খেলোয়াড় কিনে তাঁদের প্রস্তুত করে বেশি দামে বিক্রি করার কারণে আগেই বিশেষ পরিচিত ছিল ব্রাইটনের। এই প্রবণতা ব্রাইটনের ডিএনএতেই আছে। সে প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই কাইসেদোর ব্রাইটন থেকে চেলসিতে যাওয়া। কিন্তু কাইসেদো যে নগদ লাভ ব্রাইটনকে দিয়ে যাচ্ছেন, তা অবিশ্বাস্য। সম্ভবত এ ধরনের প্রকল্পের এটিই সবচেয়ে বড় সফলতা। কিন্তু কাইসেদোর জন্য এই পথটা পাড়ি দেওয়া মোটেই সহজ ছিল না।
মা-বাবার দশ সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট কাইসেদোর জন্ম ইকুয়েডরের শহর সান্তো ডমিঙ্গোর দরিদ্র পরিবারে। রাজধানী কুইটো থেকে ১০০ মাইল পশ্চিমের এই শহরে তাঁর বাবা ছিলেন একটি রিকশার মালিক। কিন্তু বাবার আয়ে সংসার ঠিকঠাকভাবে চলত না। যে কারণে তাঁর মাকে অন্যের ঘরে কাজ করে বাড়তি টাকা আয় করতে হতো।
Share News
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
সর্বাধিক পঠিত