খাগড়াছড়িতে জুমের ফলন ব্যাহত
- Updated Oct 28 2023
- / 452 Read
এমদাদ খান;
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পাহাড়িদের জুম ক্ষেতে এখন পাকা ফসল তোলার ভরা মৌসুম। তবে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে চলতি মৌসুমে খাগড়াছড়িতে জুমের ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। অনাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টির কারণে জুমে ধানসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন কমেছে। ফলে হতাশ জুমিয়ারা। পক্ষান্তরে জুমে উৎপাদন বাড়াতে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিজ্ঞানীরা।
খাগড়াছড়ির সবুজ পাহাড়ের চূড়া পাকা ধানে হলুদ রূপ ধারণ করেছে। ধানের পাশাপাশি জুমে হলুদ, মারফা, আদা, মরিচ, কচু মিষ্টি কুমড়ো, তিল, ভুট্টা, বরবটিসহ প্রায় ৪০ জাতের সবজির চাষাবাদ করেছে জুমিয়ারা। জুমের উৎপাদিত খাদ্য শস্য দিয়ে পরিবারের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি জুমে উৎপাদিত সবজি ও কৃষিজ পন্য বিক্রি করে জুমিয়াদের সংসার চলে। তবে জুম ফসলের বীজ রোপণের সময় বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে এবার ধানসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন কমেছে। ফলন কম হওয়ায় হতাশ জুমিয়ারা।
খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো.আব্দুল্লাহ আল মালেক জানান জুমে উৎপাদন বাড়াতে সনাতনী জুমের পরিবর্তে আধুনিক পদ্ধতিতে জুম চাষ করার উপর জোর দেন। তিনি জুমের ফলন বাড়াতে গবেষণা করছে পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ রোপণের পরার্মশ দেন।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার জানান, খাগড়াছড়িতে প্রায় ৫ হাজার কৃষক জুম চাষের উপর নির্ভরশীল। চলতি মৌসুমে প্রায় ১ হাজার ৫৯ হেক্টর জমিতে জুম চাষ হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এবার খাগড়াছড়িতে জুমের উৎপাদন কম হয়েছে। এ বছর অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারণে জুমের ফসল উৎপাদন কমেছে। ফসল ঘরে তোলার সময় অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে ধান নষ্ট হয়ে গেছে।
পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টির নির্ভর জুমের কোন বিকল্প নেই। পাহাড়ি এলাকারা জুমিয়ারা তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য জুমের উপর নির্ভরশীল। বৃষ্টি নির্ভর জুম চাষকে নানাভাবে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে করা হচ্ছে। জুমিয়াদের মাঝে ভালো ও উন্নত মানের বীজ সরবরাহসহ জুম চাষের পরবর্তী বিকল্প চাষ হিসেবে ঐ পতিত ভূমিতে কি কি ফসল ফলানো যা তা নিয়ে গবেষণা চলছে।
Share News
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
সর্বাধিক পঠিত