বিশেষ প্রতিনিধি: শনিবার রাতেই শেষ হয়েছে সোনাগাজী পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। আগামীকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে এ পৌরসভায় প্রথমবারের মত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)’র মাধ্যমে ভোট গ্রহণ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময়কালে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার বিষয়ে দৃঢ় আশ্বাস দেয়া হলেও পূর্বের অভিজ্ঞতায় ভোটাররা তাতে বিশ্বাস রাখতে পারছেননা। তারপরও ভোটদানের দিন সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হলে ভোটাররা কেন্দ্রে এসে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন ভোটাররা।জানা যায়, সোমবার অনুষ্ঠিতব্য সোনাগাজী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন, কাউন্সিলর পদে ৯টি ওয়ার্ডে ২৩ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে দুটি ব্লকে চারজন নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রয়েছেন।
মেয়র প্রার্থীদের মাঝে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন (নৌকা), উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সেলিম (মগ), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা আবু নাছের (মোবাইল ফোন) ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা হিজবুল্যাহ (হাতপাখা)।নির্বাচনী মাঠ পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, গত কয়েকদিন যাবত নৌকা প্রার্থী ও হাতপাখা প্রার্থী নিয়মিত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন। দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় কিছুটা কোণঠাসা ভাবে প্রচারণায় মাঠে ছিলেন মগ ও মোবাইল ফোন প্রতিকের ২ মেয়রপ্রার্থী। শনিবার রাতে প্রচারণা শেষে মেয়রপ্রার্থী হাফেজ হিজবুল্যাহ ও আবু নাছের জানান, ভোটাররা পরিবর্তন চায়। ভালো মানুষকে নির্বাচিত করতে চায়। তবে ভোটদানের পরিবেশ নিশ্চিত না হলে ভোটাররা ঝুকি নিয়ে কেন্দ্রে ভোট দিতে আসবেনা। সেজন্য এ দু’প্রার্থী প্রশাসনের নিকট ভোটদানের পরিবেশ নিশ্চিতের জোর দাবী জানিয়েছেন। এদিকে নৌকা প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, আমি এ এলাকার মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছি। মানুষ সুযোগ পেলে আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে পূনরায় মেয়র বানাবেন। তিনিও প্রশাসনের প্রতি ভোটের পরিবেশ বজায় রাখার দাবী জানান।
অপর দিকে জেলা প্রশাসন ও রিটার্ণিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠানের জন্য সবধরনের প্রস্তুুতি নেয়া হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে ১ জন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ৯টি কেন্দ্রে স্টাইকিং ফোর্স পরিচালনার জন্য একজন ম্যাজিষ্ট্রেটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীসহ ভোটারদের অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে আশ্বস্ত করা হচ্ছে। কিন্তুু পূর্বের অভিজ্ঞতায় তার উপর আস্থা রাখতে পারছেন না ভোটাররা। ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবারই নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রশাসনের আশ্বাস শোনানো হয়। কিন্তুু ভোটের আগের রাত থেকে ভোটগ্রহনের শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের কর্তাদের আশ্বাসের স্থানে পাওয়া যায়না। প্রতিবারই ঘটে ভোট ডাকাতি। তবে এবার ইভিএম’র ভোট গ্রহনকালে প্রশাসন সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করলে ভোট ডাকাতির সুযোগ থাকবেনা বলেও মতামত দেন স্থানীয় ভোটাররা।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সোনাগাজী পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রে মোট ৫১টি বুথে ১৫ হাজার ৯৮৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মাঝে ৮ হাজার ১২৭ জন পুরুষ ও ৭ হাজার ৮৫৮ জন মহিলা ভোটার রয়েছে।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!