বিশেষ প্রতিনিধি: ফেনীর পূর্বাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন মাস্টার পাড়া-আলোকদিয়া- ভালুকিয়া- লস্করহাট-ভূঞারহাট-শান্তির হাট ও ছাগলনাইয়া সড়কের প্রশস্তকরণ কাজ শেষ হয়েছে। যেকোন সময় সড়কটি উদ্বোধন হওয়ার অপেক্ষায়। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে সড়কটি জনপথ বিভাগের হাতে বুঝিয়ে দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা আছে। তবে সড়কের কাজ যেহেতু নির্ধারিত সময়ের আগেই সমাপ্ত হয়েছে সুতরাং যেকোন সময় সড়কটি বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ নুরনবী। ফেনী শহরের মাস্টারপাড়া হতে আলোকদিয়া-ভালুকিয়া-লস্করহাট-ভূঞারহাট-শান্তির হাট পর্যন্ত ১০ ফুট সড়কটি ১৮ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত করা হয়েছে। গত বছর কোরবানীর ঈদের আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই সড়কটির কাজের উদ্বোধন করেন, ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি। মূলত সাংসদ নিজাম হাজারী এমপির আন্তরিক ইচ্ছায় ও তদবিরের দরুণ এই আঞ্চলিক সড়কটির প্রশস্তকরণের কাজ সহজেই সম্পন্ন হয়েছে। জেলার আঞ্চলিক সড়কের কোথাও এতো বড়ো বাজেটের কাজ বরাদ্ধ হয়নি। এই সড়কটির প্রশস্তকরণের ফলে ফেনীর পূর্বাঞ্চলের মানুষের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী মো. নুরুননবীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সড়কটির প্রাক্কলিত ব্যয় প্রায় ৫৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের মধ্যে একটি দ্বিতল বাড়ী রয়েছে। যার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ১ লাখ টাকা। ভবনটি জনপথ বিভাগের অফিসের কাজে ব্যবহার করা হবে। একই প্রকল্পে ৭৭ মিটার লম্বা একটি ব্রিজ ও ৩ মি. লম্বা ৩ টি কালভার্ট রয়েছে। প্রতিটি কালভার্ট ১১ মিটার প্রশস্থ। সড়কের সম্মুখ ভাগ অর্থাৎ মাস্টারপাড়া পুরাতন জেল গেইটের সামনে একটি গেইট ও ছাগলনাইয়া অংশে আরো একটি গেইটে সড়কের নামকরণ সম্বলিত গেইট স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় আরো আছে ৫০ লাখ টাকা মূল্যের একটি গাড়ী ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে আরো ৭০ লাখ টাকা। ঠিকাদর নুরুননবী আরো বলেন, কাজ নিতে গিয়ে আরো ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা লেস দিয়েছি। অর্থাৎ প্রকল্পের ৫৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা থেকে অন্যান্য প্রজেক্টে ৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা বাদ গেলে সড়ক খাতে ব্যয় হচ্ছে ৫৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। গত একবছর পর্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করে সড়কটি সম্পন্ন করা হয়েছে। রাস্তার দু’পাশ ভরাটের পর প্রতিদিন ১৩ টি পানি ছিটানোর গাড়ী সড়কে অনবরত পানি ঢেলেছে। পাশাপাশি রোলার দিয়ে অব্যাহত ঢলার ফলে সড়কটি অত্যন্ত মজবুত হয়েছে বলে জানিয়েছেন, সড়কে বিভাগের কর্মকর্তারা।এছাড়াও স্থানীয় লোকজন সড়ক নির্মাণের কাজে দারুণ খুশি। এই সড়ক নির্মাণের ফলে ফেনীর পূর্বাঞ্চলের মানুষের ফেনী শহরের সাথে সহজে যোগাযোগের যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। তাছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি-অটোরিক্সা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে ফরহাদনগর, ফাজিলপুর, ছনুয়া, মোটবী, লেমুয়া, ছাগলনাইয়ার গোপাল ইউনিয়নের সিএনজিগুলো এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। এছাড়াও কালিদহ, কাজীরবাগ, শিলুয়া ও পাঠান নগর ইউনিয়নের মানুষজনও এই রাস্তায় চলাচল করে। প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার লোক এই সড়কের মাধ্যমে শহরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে চলেছে ।
শর্ত পূরণ না করায় ফেনীর ৯...
ফেনীর মেধাবী মুখ রিয়ার এড...
চৌদ্দগ্রামে জুয়া খেলার সর...
ছাগলনাইয়ায় অবহেলিত মানু...
Subscribe to our mailing list to get the new updates!